নাম শুনে বেশ অদ্ভুত লাগছে না? জানতে ইচ্ছা হচ্ছে না কেন এই অদ্ভুত নাম দ্বীপটার!
বাংলাদেশের ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অনেকটা সাগরের কোল ঘেষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা এই চর কুকরি মুকরিতেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। কথিত আছে যে একসময় এই চরে শুধুমাত্র কুকুর আর ইঁদুর (স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত) ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়তো না। আর তাই এই চরের নামকরণ হয় চর কুকরি মুকরি।
বাংলাদেশের ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অনেকটা সাগরের কোল ঘেষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা এই চর কুকরি মুকরিতেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। কথিত আছে যে একসময় এই চরে শুধুমাত্র কুকুর আর ইঁদুর (স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত) ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়তো না। আর তাই এই চরের নামকরণ হয় চর কুকরি মুকরি।
১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে চর কুকরি মুকরি এলাকায় প্রশাসনিক উদ্যোগে বনায়নের কাজ শুরু হয়। এ সময় মূলত শ্বাসমূলীয় গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন শুরু করা হলেও পরে ক্রমে ক্রমে যুক্ত হয় সুন্দরী, গেওয়া, পশুর প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ। এ ছাড়া গোটা এলাকা জুড়েই চোখে পড়ে বিপুল সংখ্যক কেওড়া গাছ।
মূলত বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই সব গাছ আর আশপাশের নারিকেল গাছ, বাঁশ ও বেত বন মিলেই এখানে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় একটি ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল।
এ ছাড়া এখানকার সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। চর কুকরি মুকরির বনে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল প্রভৃতি। আর পাখিও সরিসৃপ হিসেবে এই বনের অধিবাসীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বন মোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুইসাঁপ, বেজি, কচ্ছপ ও নানা ধরনের সাপ।
এ ছাড়া এখানকার সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। চর কুকরি মুকরির বনে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল প্রভৃতি। আর পাখিও সরিসৃপ হিসেবে এই বনের অধিবাসীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বন মোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুইসাঁপ, বেজি, কচ্ছপ ও নানা ধরনের সাপ।
যারা ভ্রমন পিপাসু এবং প্রতিনিয়ত খুজে ফেরেন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, যারা ভালবাসে প্রকৃতিকে, ভালবাসে প্রকৃতির উপাদান তাদের জন্য চর কুকরি মুকরি আদর্শ জায়গা।
আপনি কি সবুজের সমারোহ পছন্দ করেন?
আচ্ছা, এমন জায়গা কি ভাল লাগার মতো নয় যেখানে যতো দূর চোখ যায় কখনো শান্ত, কখনো উত্তাল জলস্রোত চোখে পড়বে? আর তার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজের সমারোহ। সেই সব গাছগুলো নানা রকম পাখির কলকাকলিতে মূখরিত। সন্ধায় জলের তলে চলে যাওয়া সূর্য আর সকালে জল থেকে বেরিয়ে আসা লাল আলো। যেখানে আপনি কক্স বাজারের মতো অনুভূতি পাবেন কিন্তু কোলাহল মুক্ত পরিবেশ।
এমন পরিবেশ শুধু মাত্র কার্টুনে ই দেখা যায় অথচ সেই পরিবেশ আপনি সামনে থেকে দেখতে পাচ্ছেন। একটা বাচ্চা হরিণ বন থেকে ঘুরতে ঘুরতে বেরিয়ে আপনার সামনে পড়লো। চর কচ্ছপিয়া বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়ালে একে একে চোখের সামনে ভেসে উঠবে টুকরো টুকরো বনভূমি। চোখ বন্ধ করে খুব জোড়ে একটা নিঃশ্বাস টেনে ছেড়ে দিলে যেন মনে হয় ভেতর থেকে সমস্ত অসস্তি দূর হয়ে গেল।
আপনি কি নৌকা ভ্রমন পছন্দ করেন?
ভোলা যেতে হলে আপনি দেশের যেকোনো জায়গা থেকে নৌপথে দারূন একটি নৌভ্রমন উপভোগ করতে করতে আসতে পারেন। তারপর ভোলা লঞ্চঘাট থেকে চর ফ্যাশনের বাসে চড়ে আসতে হবে চর আইচাতে। আর এখান থেকে কচ্ছপিয়া উপজেলা ট্রলার ঘাট হয়ে আবারও ইঞ্জিন নৌকায় বেশ খানিকটা জলপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছানো যাবে চর কুকরি মুকরিতে। আর সেখানে পরিছন্ন ও নিরিবিলি জলাভূমি তো রয়েছেই।
বর্তমানে এটি একটি আকর্ষনীয় পর্যটন স্থান। এখানে বিভিন্ন বন্য প্রানী ছাড়াও রয়েছে সুদূর প্রসারি নারকেলের বাগান যা দ্বিপটিকে আরো বেশি মনোরম করে তুলেছে। এখানে আছে বালুচর। প্রকৃতির সাথে মিশে যাও্য়ার জন্য প্রকৃতি আপনাকে অপার সুযোগ দিচ্ছে। শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু পরিছন্ন বাতাসের ছোয়া পেতে আপনাকে চর কুকরি মুকরি-তে স্বাগতম।