এখানে সন্ধ্যার দিকে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে আরো বেশি পুলকিত করবে। সবচেয়ে ভালো লাগবে সন্ধ্যার পরিবেশ। সুতরাং থাকতে পারেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রচুর লোকের সমাগম হয় সেখানে। সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে আছে সী বাইক ও ঘোড়া। বিকেলের দিকে মন চাইলে পানিতে নেমে আনন্দের মাত্রা আরও বাড়াতে পারেন। সেই সাথে আছে স্পিডবোড কিংবা কাঠের তৈরি নৌকা ওঠার সুযোগও। জাহাজ তো আছেই সাথে মাথার উপর প্লেন ও উরে যেতে দেখবেন কারন পাশেই শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
যদিও সমুদ্র সৈকত দেখে আপনার ফিরতে ইচ্ছে করবে না হয়তো। কিন্তু শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-গামী রাস্তার মুখে অবস্থিত বাটার ফ্লাই পার্ক দর্শন করতে ভুলবেন না। বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন সেখানে। পার্কটিতে ৭০ প্রজাতির প্রায় ১০০০ এর বেশি প্রজাপতি রয়েছে। সকালের দিকে এসব প্রজাপতির দেখা মেলে ।
ভ্রমণে যে নেশা রয়েছে তা শুধুমাত্র ভ্রমণ পিপাসুরাই জানে । কখনো সামুদ্র , কখনো পাহাড় কখনো বা জঙ্গলে এ প্রকৃতির টানে। ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ও খুব ভাল লাগে কারণ বিভিন্ন ভ্রমণের গল্প শুনিয়ে তারা তৃপ্তি পায় আর সেগুলো শুনতে আপনার ও অবশ্যই ভাল লাগবে। যদি আপনার সঙ্গী ভ্রমণে উৎসাহী হয় তাহলে নিশ্চিত আপনি অনেক ভাগ্যবান/ ভাগ্যবতী। সমুদ্রের পারে দাঁড়িয়ে একসাথে সূর্যাস্ত দেখা টা সত্যিই অনেক উপভোগ করার মতো একটা বিষয় হবে। পতেঙ্গায় (Patenga) একটি সন্ধ্যা কাটানোর পরে যদি কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করে আপনার সমুদ্র পছন্দ কিনা আমি নিশ্চিত আপনি এক বাক্যে হ্যাঁ বলে দিবেন। সৌন্দর্য সবাই উপভোগ করতে পারে না। সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যেমন চোখ প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন উপভোগ করার ইচ্ছা। আজ কাল শোনা যায় অনেকে ডিপ্রেশনে থাকে। আমি ভেবে পাই না ভ্রমণের মত উপভোগ্য একটি ব্যাপার পৃথিবীতে থাকার পরেও কিভাবে মানুষ ডিপ্রেশনে চলে যায় ।