কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু কাশীনাথ ভট্টাচার্য বারুইপুর(Baruipur) থেকে সাইকেলে ঢাকুরিয়া(Dhakuria) এসে হাজির। কুশল বিনিময়ের পর ওঁর সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে চা’য়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী কাশীনাথ স্বভাব কবি। অনেক নামী কাগজে ওঁর কবিতা বেরোয়। ভাল আবৃত্তিকার এবং আবৃত্তির শিক্ষক। সব মিলিয়ে একজন বাচিক শিল্পী। ওঁর লেখা আবৃত্তির বইও আছে। তবে আপাদমস্তক ও আপনভোলা মানুষটি কবিতা নিয়ে কথা বলতে যত না খুশি হয়, তার চেয়েও বেশি খুশি হয় নিজেকে বামপন্থী বলতে আর ঘুরে বেড়াতে। পায়ে যেন সর্ষে লাগানো আছে। নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার করতেই যেন ওঁর বেশি আনন্দ। সেইসব জায়গায় কখনও নিজে একা বেরিয়ে পড়ে কখনও বা পরিবারের সকলে মিলে যায়।
নিজেই বলল, “এবার পুজোয় নারকান্ডা(Narkanda) যাচ্ছি”। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললাম – নারকান্ডা(Narkanda)? সে জায়গাটা আবার কোথায় রে?
কাশীনাথ বলল, “সিমলায়(Simla)। হিমাচলের(Himachal) সিমলায় অনেকেই যায়। শৈল শহরে পর্যটকদের ভীড়ে পা ফেলার জায়গা থাকে না। অথচ, হিমাচলের কোনায় কোনায় এমন সব পাহাড় ঘেরা জায়গা আছে, যেখানে নিরিবিলিতে প্রকৃতিকে উপভোগ করা যায়”। এরপর নিজেই আবার বলল, এর আগে একবার কাজের সূত্রে সিমলা গিয়ে জায়গাটার সম্পর্কে শোনার পর ঝটিকা সফরে কয়েক ঘন্টার জন্য গিয়েছিলাম। হাতে সময় থাকলে দু’চার দিন হয়ত থেকেও যেতাম। তবে জায়গাটার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে এসেছিলাম। এবার সেটা কাজে লাগবে। বৌদিকে নিয়ে চল, সবাই মিলে ঘুরে আসি”।
ওক(oak), পাইন(pine), সিডার(cider), ওয়ালনট(walnut) বৃক্ষের ছায়াপথে শৈল শহর পর্যটকদের আগমনে সব ঋতুতেই অর্ভ্যথনা জানায়। কিন্তু নারকান্ডার কথা ক’জন জানে? আসলে নিরিবিলিতে দু’তিনদিন কাটানোর জন্য নারকান্ডার তুলনা নেই। অপার শান্তি। যেন শান্তির স্বর্গ রাজ্য। সপরিবারে গেলে অবশ্য কমবয়সীদের একটু এদিক ওদিক ঘুরে দেখতে ইচ্ছা করবেই। চিন্তা করবেন না। ভুতের রাজার ভাষায় বলতে হয় – ‘সব আছে, সব আছে’। তবে, কম হলেও যা আছে তাতে হতাশ হবে না, এমন কথা জোর দিয়েই বলা যায়। নারকান্ডা খুব ছোট জায়গা হলেও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে। যেমন, হাটু পিক, ভীম চুলা, জোড় বাগ, স্কি পয়েন্ট, তানি জুব্বার লেক, কাচোরি মহামায়া লেক। এছাড়াও আর্য সমাজ মন্দির, সেন্ট মেরি চার্চ ইত্যাদি। তাহলে চলুন, বেরিয়ে পড়া যাক।
প্রথমেই বলি, নারকান্ডায় একটা খুব ছোট বাজার আছে। অধিকাংশ হোটেল ওই বাজার অঞ্চলেই। এছাড়া, HPDTC-র হোটলও পাবেন। মোটামুটি ৩০০ টাকা থেকে হোটেল ভাড়া শুরু। ওখান থেকেই আপনার নারকান্ডা অভিযান শুরু করুন। প্রথমে ভেবে নিন কীভাবে যাবেন। দুটো উপায় আছে। একঃ গাড়ি ভাড়া করা এবং দুইঃ পায়ে হেঁটে।
হাটু (Hatu peak)পিকঃ
বাজার থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে হাটু পিক নারকান্ডার অন্যতম বড় আকর্ষণ। শুধু নারকান্ডায় নয়, পুরো সিমলা(simla) জেলাতে হাটু সবচেয়ে উঁচু পয়েন্ট। উচ্চতায় ১১ হাজার ১৫২ ফুট। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাইন, ওক গাছের সমারোহ। পিক থেকে দেখতে পাওয়া যায় পর্বত শৃঙ্গগুলি বরফের আচ্ছাদনে মুড়ে রয়েছে। হাটু পিকের উপর থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এককথায় অপুর্ব। হাটু পয়েন্টের ৩৩০০ মিটার উচ্চতার চূড়ায় রয়েছে কাঠের এক অপরূপ সুন্দর মন্দির। ছোটখাট মন্দির হলে কি হবে এর সৌন্দর্য বাস্তবিকই অবর্ণনীয়। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবীকে নিয়ে স্থানীয় মানুষের নানা বিশ্বাস। কারোর কাছে “কালো হাটু” দূর্গা মাতার মন্দির। কেউ বলেন, রাবন পত্নী মন্দাদরির মন্দির তো কারোর মতে আবার এই মন্দির কালীর।
ভীম(Vim chula) চুলাঃ
হাটু মন্দিরের পাশেই ‘ভীম চুলা’। কথিত আছে, হাটু মন্দিরের কাছেই পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাস-এ ছিলেন। রান্নার জন্য যে চুলা তাঁরা ব্যাবহার করতেন, তার আগুন থেকেই নাকি তৈরি হয়েছে বিরাটাকায় পাথর খন্ড। আর রয়েছে ১৮৮৬ সালে নির্মিত একটি ডাক বাংলো।
জোড়(Jorh Bagh) বাগঃ
যাঁরা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য জায়গাটা নিঃসন্দেহে লটারির টিকিট জয়ের মতো। আগে কখনও ট্রেকেইং করেননি, তাঁরাও ‘জোড় বাগ’ দিয়ে নিজেদের ট্রেকং অভিযান অনায়াসে শুরু করতে পারেন। হাটু পিক থেকে ট্রেকিং করেই ঘন্টা খানেকের মধ্যে জোড় বাগে পৌঁছে যেতে পারেন। ট্রেকিং না করত্তে চাইলে আপনাকে হাঁটা পথে জোড় বাগে পৌঁছতে হবে।
তাই সবচেয়ে ভাল উপায় হল, আপনি গাড়ি ভাড়া করে হাটু পিক-এ এসে থাকলে, গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করুন। গভীর অরণ্যর মধ্যে দিয়ে হাঁটতে ভালই লাগবে। এখানে বন্য জন্তু জানোয়ারের ভয় নেই। কিন্তু জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট ভয় আছে। তাই সাবধান, পথ যেন না হারায়। সব থেকে ভাল হয় যদি প্রথম থেকেই একজন গাইড ভাড়া করে নেন। সেক্ষেত্রে সেই গাইডই আপনাকে পথ দেখিয়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবেন।
স্কি(Ski point) পয়েন্টঃ
নারকান্ডার সবথেকে বড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো এই ‘স্কি পয়েন্ট’। অনেকে আবার যাকে ‘স্কি স্লোপস’ বলে থাকেন। বাজার থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে হেঁটেই চলে আসতে কোনও অসুবিধা হবার কথা নয়। বছরের যে কোনও সময় আপনি নারাকান্ডায় আসতে পারেন। কিন্তু ‘স্কি পয়েন্ট’-এর মহিমা পেতে হলে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নারকান্ডার স্কি পয়েন্ট-এ জমজমাট স্কি খেলার আসর বসে থাকে। বছরের বাকি সময় আবার বরফ অদৃশ্য। তখন বরফের বদলে জায়গাটা একেবারে ঘাসে ভরা থাকে। ঘোড়ারা এসে মনপ্রাণ ভরে ঘাস খায়। যে দৃশ্য পর্যটকদের কাছেও মজার। যাঁরা ছবি তুলতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই দৃশ্য লেন্স বন্দী করার একটা ভাল রসদ।
স্কি পয়েন্ট মুলতঃ শহরের মধ্যেই অবস্থিত। নারকান্ডা শহর থেকে বাঁ দিকে বাস স্ট্যান্ডকে রেখে আপনি গ্রামের পথ ধরুন। এখানকার মানুষ বড়ই সরল। সবসময় যেন আপনার জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রেখেছে। অসুবিধা হলে, গ্রামের মানুষের সাহায্য নিন। তাঁরাই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
সুলতেজ(Sutlej river) নদীঃ
নারকান্ডায় দু’তিন দিন থাকলে আপনি সুলতেজ নদীর কাছে ইচ্ছা করলে যেতে পারেন। আবার নাও যেতে পারেন। বেশ দূরে এই নদী। নদীর তীরে আসার পর পুরো নদীটা অতিক্রম করতে হলে চার-পাঁচ ঘন্টা সময় হাতে রাখুন।
তানি(Tanni jubbar) জুব্বার লেকঃ
নারকান্ডা থেকে গাড়িতে মাত্র পনের মিনিট গেলেই পেয়ে যাবেন ‘তানি জুব্বার লেক’। এই লেকের গঠনটা ডিম্বাকৃতি। ম্যান মেড এই লেকের আয়তন খুব একটা বড় নয়। চারিদিক বাঁধানো। এই লেকের কাছেই পেয়ে যাবেন মন্দির। যে মন্দির নাগ দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরো জায়গাটার প্রাকৃতিক শোভা অপরূপ। চারিদিকে অজস্র আপেল গাছ। রঙ বেরঙের পাখিদের কলকাকলি। এই সব কিছু আপনাকে চম্বুকের মত ধরে রাখবে। রাতে থেকেও যেতে পারেন। সে ব্যাবস্থাও আছে। লেকের পাশে আপনি তাঁবু ফেলেও মায়াবী রাত উপভোগ করতে পারেন।
কাচেরির(Kacheri) মহামায়া মন্দিরঃ
কাচেরিতে উৎসর্গকৃত কালী মায়ের মন্দির। নারকান্ডা থেকে রাম্পুরের দিকে যেতে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির। পাশেই সুলতেজ নদীর তীর। তবে পুরো পথটাই আপনাকে গাড়িতে যেতে হবে।
আর্য সমাজ(Arya Samaj) মন্দিরঃ
নারকান্ডার বাজার যদি আপনার শুরুর পর্ব হয় তবে শেষ করুন ওখান থেকেই। বাজার থেকে ১৫ কিমি গেলে থানেদার গ্রামে চলুন। ওখানে যেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই গাড়ি ভাড়া করতে হবে। যেখানে পাবেন সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি পরমজ্যোতি মন্দির। এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন স্যামুয়েল স্ট্রোক নামে এক ব্রিটিশ। মানুষটি শিল্পের সমঝদার ছিলেন। পাহাড়ি ভাস্কর্যের আদলে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে ছিলেন। হিন্দু ধর্ম ও ভারতবর্ষকে এতটাই ভালবেসে ফেলেছিলেন যে ধর্মান্তরিত হয়ে পাকাপাকিভাবে এদেশেই থেকে যান।
শুধু তাই নয়, ভারতে আপেল চাষ প্রথম শুরু করেন স্ট্রোকস। থানেদার গ্রামে আপেলের বিশাল ফার্ম হাউস গড়ে তোলেন। যা পরে নামকরণ হয় স্ট্রোকস ফার্ম নামে। এদেশে আপেল চাষের জন্য তাঁর অদম্য উৎসাহ ও উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতেই এই নামকরণ।
সেন্ট মেরি(St Mary’s) চার্চঃ
থানেদার গ্রাম নারকান্ডার ইতিহাসে একটা উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে। নারকান্ডার এই গ্রামে পাবেন ১৭৮ বছরের পুরনো গির্জা। অর্থাৎ জঙ্গলে ঘেরা থানেদার গ্রামে ১৮৪৩ সালে স্থাপিত হয়েছিল সেন্ট মেরি চার্চ। যার পাশেই আছে গর্টন মিশন স্কুল। তাই নারকান্ডায় দু’তিন দিন থাকলে অবশ্যই থানেদার গ্রামে আসার কথা মনে রাখবেন।
সবমিলিয়ে মাথার উপরে দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশ আর চারদিকে শুধু শ্বেত শুভ্র বরফরাশি। হিমালয়ের কোলে ছোট্ট শৈল শহরের নাম নারকান্ডা। চলুন এবার পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসি
কীভাবে যাবেনঃ
হাওড়া(Howrah) থেকে কালকা(Kalka) মেল রাত ৭-৪০মিনিটে ছাড়ে। Simla পৌঁছতে সময় নেয় ৩৪ ঘন্টা। সিমলা থেকে গাড়িতে দু’ঘন্টার মধ্যে ছবির মতো গ্রাম নারকান্ডায় পৌঁছে যাবেন। পথের দু’পাশে সার দিয়ে চেরি, আপেল ও দেওদার গাছ। ফলে ফলে ভরে থাকে বলে নারকান্ডাকে সিমলার ফলের ঝুড়িও বলা হয়ে থাকে।
নারকান্ডায় খাওয়া দাওয়াঃ
অসাধারণ সব মন কাড়া পাহাড়ি খাবার। যা শুধু নারকান্ডাতেই পাবেন। আর দারুণ দারুণ খাবারের লোভেই অনেকে জায়গাটার প্রেমে পড়ে যান। তাজা শাক-সবজি, খাঁটি দেশী ঘি আর স্থানীয় মশলার গুনে প্রতিটা খাবারের স্বাদ শুধু অপূর্বই নয়, একবারে মনভরানো। নারকান্ডার স্থানীয় খাবার এই কারণেই হিমাচল প্রদেশের গর্ব। নানা বৈচিত্রে ভরপুর নিরামিষ ও আমিষ পদ পাবেন। যা নারকান্ডার একেবারে নিজস্ব ঘরানায় তৈরি। প্রতিটা পদের স্বাদ একেবারেই নিজস্ব স্বকীয়তা ও রান্নার গুনে উজ্বল।
যেমন ধরুন, ‘সিড্ডু ঘি’। নারকান্ডার একটা বিখ্যাত খাবার। এই ঘি ভালমতো গরম করলেই জাত চিনে নিতে পারবেন। কালো ডাল পিষে তার সঙ্গে তিল ইত্যাদি দিয়ে বানানো হয় উপাদেয় পদ। এর সঙ্গে সিড্ডু ঘি মেখে নিন। সিড্ডু ঘি আবার মিষ্টি স্বাদেরও পাবেন। গরম গরম সিড্ডূ ঘি পরিবেশন করা হয়। চাটনি, দই এমনকি চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে ভাল লাগে।
‘বাথু ক্ষীর’ এখানে খুব বিখ্যাত। ক্ষীরের মধ্যে ফল থাকে। পাবেন নিরামিষ খাবার ‘খোরু’। দই ও নানারকম স্থানীয় মশলা দিয়ে তৈরি এই পদ নারকান্ডায় প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজেও চলে। আবার ইচ্ছা করলে চেখে দেখতে পারেন ‘গুচ্চি কি শব্জি’ বা ‘চেউন’। এখানকার খুব দামী খাবারের একটি মাশরুম ভাজি। মাশরুমের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে। দাম ৭০০০ হাজার টাকা থেকে ২০০০০ টাকা কেজি। তবে এই দামী মাশরুম মুলতঃ ওষুধ তৈরির জন্য ব্যাবহার করা হয়।
এবার একটা আমিষ খাবারের কথা। খাবারের নাম ‘চা গোস্ত’। কচি ভেড়ার মাংস ভাল করে ম্যারিনেট করার পর ময়দা আর মশলা সহকারে তৈরি একটা দুর্দান্ত আমিষ পদ। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। আর একবার ভাল লেগে গেলে ‘পাকিয়ান’ বা ‘বাবরু’ দিয়ে খেতে পারেন।যা অনেকটা আমাদের কচুরির মতো। যাতে কালো ডালের পুর আর সিড্ডু ঘি থাকে। কেউ চাটনি দিয়ে কেউ মাংস দিয়েও চেটেপুটে খায়। এছাড়াও ভাত, ময়দা, ঘি আর স্থানীয় মশলা দিয়ে তৈরি ‘খোবডি’ সহযোগেও আপনার খাওয়া দাওয়া সারতে পারেন। কিংবা আমরা যেমন মাংস-ভাত খাই, সেরকম কিছু যদি হয় তো মন্দ হয় না। তাহলে আপনার জন্য আছে ‘মিঠি ভাত’। দেশি ঘি, শুকনো ফল দিয়ে মাত্র ৫-৭ মিনিটের মধ্যে একটু দিয়ে নামিয়ে নেওয়া হয়। এরপর লাঞ্চ বা ডিনার সারতে পারেন চা গোস্ট দিয়ে।
সবশেষে মিষ্টিমুখ। বাঙালির তো আবার শেষ পাতে মিষ্টি বড়ি পছন্দের। তার জন্য আছে ‘কালি রুটি’। যা অনেকটাই আমাদের ‘মালপোর’ মতো।
এরপর আপনি ভোজন রসিক হোন বা না হোন নারকান্ডা না এসে কি পারবেন?